1. admin@dainiksamundrasaikat.xyz : Admin :
ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত পয়েন্টে দুই শতাধিক রোহিঙ্গা জড়ো : ১৪ জনকে পুশব্যাক - সমুদ্র সৈকত
২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| বৃহস্পতিবার| সকাল ৬:১২|

ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত পয়েন্টে দুই শতাধিক রোহিঙ্গা জড়ো : ১৪ জনকে পুশব্যাক

বান্দরবান
  • Update Time : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০৬ Time View
Spread the love

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা ২ বিষয়ে অভিযান চালাচ্ছে মরিয়া হয়ে। প্রথমত অনুপ্রবেশ-চোরাচালান রোধ, অপরটি অনুপ্রবেশে উৎসাহদানকারী দালালদের ঠেকানো। যারা বিজিবির কঠোর নিষেধাজ্ঞারোপের পরও টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
আর এ ধরনের অপচেষ্টাকালে ১৪ রোহিঙ্গাকে আটক করে পুশব্যাক করা হয় শনিবার সকালে। বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অপর একাধিক সূত্র জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু জলপাইতলী পয়েন্টের ৩২নং পিলার হয়ে অনুপ্রেবেশবকরা ১৪ রোহিঙ্গাকে শুক্রবার বিকেলে আটক করেছে জনতা। এরপর তাদেরকে ঘুমধুম বিওপির বিজিবির কাছে সোপর্দ করে তারা। যাদেরকে শনিবার সকালে পুশব্যাক করা হয় বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে।

অপর দিকে শুক্রবার দিবাগত রাতে সীমান্ত পিলার ৩৩ এর নিকটবর্তী  মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢোরি নামক স্থানে অনুপ্রবেশের জন্য জড়ো হয় ২ শতাধিক রোহিঙ্গা। তারা শনিবার বিকেলে এ সংবাদ লেখাকাল অবধি অবস্থান করছিল।

আর তাদেরকে বাংলাদেশে  অনুপ্রবেশ করাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু রোহিঙ্গা ও স্থানীয় লোক মিলে শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বিজিবি’র চোখ ফাঁকি দিয়ে ১৪ জনকে অনুপ্রবেশ করাতে চেষ্টাকালে আটকের পরে  তাদের পুশব্যাক করা হয়।

স্থানীয় অধিবাসী জামাল হোসেন, আবদুর রহিম, মোহাম্মদ ইউনুছ ও গ্রাম পুলিশ আবদুজ্জাবার জানান, ঘুমধুম থেকে  তুমব্রুর বাইশফাঁড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার এলাকা এখন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের অভয়ারণ্য। এ পয়েন্ট ৫ শতাধিক চোরাকারবারী ও  শতাধিক দালাল চোরাকারবার আর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টায় মরিয়া।

এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল আবদুল্লাহ আল মাশরাফি বলেন, মূলত এ পয়েন্টটির মিয়ানমার অংশে রাস্তা-ঘাট ভাল। আর এ পারে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির। এ কারণে তারা টাকার বিনিময়ে এ পারে অুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বেশ কিছুদিন ধরে। তবে তারা সফল হচ্ছে না বিজিবি সদস্যদের কঠোর অবস্থানের কারণে।

তিরি আরো জানান, নানা মাধ্যমে তিনি শুনেছেন বেশ কিছু রোহিঙ্গা এপারে অনুপ্রবেশের জন্যে জড়ো হয়েছে। তবে তারা পেরে উঠছে না ৩৪ বিজিবির জোয়ানদের কারণে। তার আক্ষেপ, স্থানীয়রা কেন রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের জন্যে উৎসাহিত করছে?

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 dainiksamundrasaikat