কক্সবাজারের টেকনাফে স্কুলের এক অফিস সহকারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পকেটে মিলেছে একটি চিরকুট। যা পড়ে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত নুরুল আলম হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নাছের পাড়ার আবু বক্করের ছেলে। তিনি খারাংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, সকালে প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে স্কুলে যেতে বের হন নুরুল আলম। কিন্তু ৯টার পরও স্কুলে দেখতে না পেয়ে শিক্ষকরা তার খোঁজ নিতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠার সিঁড়ির গ্রিল ভেতর থেকে তালাবদ্ধ দেখে শিক্ষকদের অবহিত করে। পরে শিক্ষকরা গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে গ্রিলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষের মেঝেতে গলায় পেঁচানো অর্ধছেঁড়া রশিসহ রক্তাক্ত অবস্থায় নুরুল আলমকে দেখতে পান তারা।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি অবহিত করলে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় তার শার্টের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, ফ্যানের সিলিংয়ের সঙ্গে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। একপর্যায়ে রশিটি ছিঁড়ে গেলে তিনি মেঝেতে পড়ে যান। এতে রক্তাক্ত জখম হন।
পুলিশের উদ্ধার করা চিরকুটে লেখা রয়েছে, আমার মৃত্যুর জন্য আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও আমার স্কুল কর্তৃপক্ষের কেউ দায়ী নয়। শুধুমাত্র আমার চাকরিটা হচ্ছে আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। ইতি- নুরুল আলম।
কী কারণে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তা নিশ্চিত নয় জানিয়ে ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, চিরকুটের লেখার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে নুরুল আলমের লেখাগুলোর পর্যবেক্ষণ করে দেখা হয়েছে। এতে চিরকুটটির লেখার সঙ্গে তার হাতের লেখার প্রাথমিকভাবে মিল পাওয়া গেছে। আর এটি চূড়ান্তভাবে পরীক্ষার পর নুরুল আলমের নিজ হাতে লেখা কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : রেজাউল করিম হৃদয় , বার্তা সম্পাদক মোঃ সরওয়ার হোছাইন মানিক
যোগাযোগ : 01401266382
Copyright © 2025 ---- সমুদ্র সৈকত. All rights reserved.