কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে ছাড়িয়ে নিতে সদর মডেল থানায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীদের ইট-পাটকেলে আহত হয়েছেন পুলিশের ডজনখানেক সদস্য।
সোমবার বিকালের দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহতরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। খবর পেয়ে থানা পরিদর্শন করতে আসেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
আব্দুল্লাহ কক্সবাজার সদর উপজেলার পিমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছনখোলা গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ ফজলুল হকের ছেলে।
আটককৃতরা হলেন- পিএমখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছনখোলা এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ ও একই এলাকার আমির হামজার ছেলে মুমিনুল হক।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, কক্সবাজারে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যৌথবাহিনী সোমবার দুপুরে পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। বিকাল ৩টার দিকে তার অনুসারীরা থানায় হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে। তাদের বাধা দিতে গিয়ে আমাদের দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
এসপি আরও বলেন, থানায় হামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার ভেতরে আইনের আওতায় আনা হবে।
তথ্যমতে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে জুলাই মাসে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে নিহত হন চকরিয়া কলেজ শিক্ষার্থী আহসান হাবিব (২৪)। তিনি কক্সবাজার শহরের বিআরবি ক্যাবল অফিসে চাকরি করতেন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালিয়ে পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে আটক করে যৌথবাহিনী।
সূত্র বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে সক্রিয় ছিলেন চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ। তাকে যেকোনো সময় আটকে করতে পারেন সেটা তিনি আগে থেকেই জানতেন। এ কারণে তিনি আটক হলে যেন তার অনুসারীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন সেজন্য মানুষ প্রস্তুত রেখেছিলেন। তারা আজ থানায় হামলা চালিয়েছে।
তবে পিএমখালী থেকে থানায় আসা কয়েকজন দাবি করেন, আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বিনা অপরাধে তাকে আটক করা হয়েছে। তাই সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে থানায় প্রতিবাদ করতে এসেছেন।
কক্সবাজার মডেল থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, যৌথবাহিনীর হাতে আটক আব্দুল্লাহকে থানায় আনা হলে তার অনুসারী ৫০-৬০ জন একত্রিত হয়ে সদর থানায় এসে হামলা করে তাকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে।
কক্সবাজার শহরে আহসান হাবিব হত্যা মামলায় আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : রেজাউল করিম হৃদয় , বার্তা সম্পাদক মোঃ সরওয়ার হোছাইন মানিক
যোগাযোগ : 01401266382
Copyright © 2025 ---- সমুদ্র সৈকত. All rights reserved.