কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের ছোড়া গুলি এসে পড়েছে টেকনাফ স্থলবন্দরে। ওই গুলির আঘাতে ভেঙে যায় টেকনাফ স্থলবন্দরে দাঁড়ানো মালভর্তি ট্রাকের সামনের কাচ, মূল ভবনের ২নং কক্ষের গ্লাস। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আবারো গুলি আসার আতঙ্কে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকেরা। পরবর্তীতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
বুধবার দুপুরে নাফ নদীতে অবস্থিত মিয়ানমারের লাল দ্বীপ থেকে ওই গুলি এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে নাফ নদীতে অবস্থিত মিয়ানমারের লাল দ্বীপের মধ্য মিয়ানমার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে জান্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। যার বিকট শব্দ ভেসে এসেছে এপারেও। সেখান থেকে ৩টি গুলি এসে পড়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে। যার আঘাতে গাড়ি ও মূল ভবনের কাচ ভেঙে যায়।
ট্রাকের চালক মিজান বলেন, আমি টেকনাফ স্থলবন্দরে গাড়িতে মালামাল ভর্তি শেষে যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় হঠাৎ আমার গাড়ির গ্লাসের সামনে মিয়ানমারের প্রান্ত হতে গুলি এসে পড়ে। এতে গাড়ির সামনের কাচ ও গ্লাস ভেঙে যায়। পরে ওই গুলিটি গাড়ির সিট থেকে উদ্ধার করে বন্দর কর্তৃপক্ষকে জমা দিয়েছি।
শ্রমিকদের মাঝি বশির আহাম্মদ জানান, শ্রমিকরা বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের সময় মিয়ানমার থেকে ছোড়া ৩টি গুলি এসে বন্দরের ভবনে ও মালবাহী গাড়িতে পড়ে। যার কারণে আতঙ্কে আপাতত আমরা শ্রমিকরা জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কাজ বন্দ রেখেছি।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন জানান, আমরা অফিসে কাজ করার সময় হঠাৎ ২টি গুলি এসে আমাদের কক্ষের গ্লাসে পড়ে। এতে গ্লাসটি ভেঙে যায়। পরে গুলি দুটি উদ্ধার করে আমাদের সিনিয়র বরাবরে জমা দিয়েছি। তবে আমাদের কোনো অফিসার আঘাতপ্রাপ্ত হননি।
এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহাম্মদ জানান, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে তাদের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : রেজাউল করিম হৃদয় , বার্তা সম্পাদক মোঃ সরওয়ার হোছাইন মানিক
যোগাযোগ : 01401266382
Copyright © 2025 ---- সমুদ্র সৈকত. All rights reserved.