1. admin@dainiksamundrasaikat.xyz : Admin :
আরও ৬০ দিন বাড়ল সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা - সমুদ্র সৈকত
২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| বৃহস্পতিবার| সকাল ৬:০৬|

আরও ৬০ দিন বাড়ল সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৬৬ Time View
Spread the love

সারাদেশে সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিনের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন বা তদুর্ধ্ব কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি প্রেষণে নিয়োজিত বিজিবি ও কোস্টগার্ডে কর্মরত সমমর্যাদার কর্মকর্তাদেরও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (কোস্ট গার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) আগামী ৬০ দিনের জন্য স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলো। ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুই মাসের জন্য সশস্ত্রবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারা অনুযায়ী সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে সশস্ত্রবাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

আইনের এসব ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যা যা করতে পারেন—

ধারা ৬৪: ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার বা গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া এবং হেফাজতে রাখার ক্ষমতা।

ধারা ৬৫: গ্রেফতার করার ক্ষমতা বা তার উপস্থিতিতে গ্রেফতারের নির্দেশনা, যার জন্য তিনি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

ধারা ৮৩ ও ৮৪: ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা বা ওয়ারেন্টের অধীনে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা।

ধারা ৯৫(২): নথিপত্র ইত্যাদির জন্য ডাক ও টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুসন্ধান এবং আটক করার ক্ষমতা।

ধারা ১০০: ভুলভাবে বন্দি ব্যক্তিদের হাজির করার জন্য অনুসন্ধান-ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা।

ধারা ১০৫: সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা। তার (ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি) উপস্থিতিতে যে কোনো স্থানে অনুসন্ধানের জন্য তিনি সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন।

ধারা ১০৭: শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

ধারা ১০৯: ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

ধারা ১১০: ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তা প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

ধারা ১২৬: জামিনের নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা।

ধারা ১২৭: বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশদানের ক্ষমতা।

ধারা ১২৮: বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।

ধারা ১৩০: বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।

ধারা ১৩৩: স্থানীয় উপদ্রবে ক্ষেত্রবিশেষে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা।

ধারা ১৪২: জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা।

এসব ক্ষমতা ছাড়াও, যে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য সরকার এবং সেইসঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারের মধ্যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এই আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধ বা ঘটনাস্থলে তার বা তার সামনে উন্মোচিত হওয়া অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অপরাধীকে সাজা দিতে পারেন, তবে কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে দুই বছরের বেশি নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 dainiksamundrasaikat