জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) অর্থাৎ পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের দেখতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে গিয়ে এ ঘোষণা দেন তারা।
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ আহতদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের চিকিৎসার অগ্রগতির খোঁজখবর নেন।
এদিকে উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহতরা। বুধবার বেলা ১১টা থেকে সড়কে অবস্থান নেয় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতরা। উপদেষ্টাদের কাছ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস পাওয়ার পর আহত ব্যক্তিরা রাত সোয়া ৩টার দিকে হাসপাতালে ফিরে যান।
রাতভর নানা উত্তেজনা শেষে দিবাগত রাত আড়াইটার সময় সেখানে যান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় সহকারী (স্বাস্থ্য) হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সায়েদুর রহমান।
দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে তারা বলেন, আন্দোলনকারী প্রতিনিধির সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বৈঠক করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকালে আহতদের মধ্যে ২০ জনের প্রতিনিধি দল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে ভর্তি থাকা আহতদের মধ্যে ৩০ জনের প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে তাদের দাবি উত্থাপন করেন।
জানা গেছে, বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে তারা বলেন, আন্দোলনকারী প্রতিনিধির সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বৈঠক করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকালে আহতদের মধ্যে ২০ জনের প্রতিনিধি দল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে ভর্তি থাকা আহতদের মধ্যে ৩০ জনের প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে তাদের দাবি উত্থাপন করেন।
জানা গেছে, বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে ফিরে আসার সময় সব আহতদের ‘দেখতে না যাওয়ায়’ বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তারা উপদেষ্টার গাড়ি আটকে দেন। কিছু সময় পর উপদেষ্টা ওই হাসপাতাল ত্যাগ করলে বেলা ১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা শ্যামলী থেকে আগারগাঁও যাওয়ার সড়কে গিয়ে অবস্থান নেন।
পরে রাত ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ সেখানে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তবে আন্দোলনকারীরা তার কাছে দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে চাননি।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ‘জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশন’র প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন।
স্নিগ্ধ আহতদের সুচিকিৎসা ও প্রয়োজনে বিদেশে নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে বিক্ষোভকারীদের হইচইয়ে তিনি কথা শেষ করতে পারেননি।