1. admin@dainiksamundrasaikat.xyz : Admin :
কক্সবাজারের সাবেক জেল সুপারের কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক - সমুদ্র সৈকত
২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| বৃহস্পতিবার| ভোর ৫:৫৩|

কক্সবাজারের সাবেক জেল সুপারের কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

কক্সবাজার
  • Update Time : শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫৮ Time View
Spread the love

কক্সবাজার জেলা কারাগারের সাবেক জেল সুপার মো. বজলুর রশিদ আখন্দ ও তার স্ত্রী নাছিমা সুলতানার কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দায়ের করা মামলায় আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।

ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে অবস্থিত এই সম্পত্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে ৬টি প্লট, জমি, ফ্ল্যাট এবং অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি। বিস্তারিত জানা যায়, ক্রোক করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ঢাকার ডেমরা এলাকার ৩ কাঠা জমি, খিলগাঁও এলাকার গোড়ান মৌজার ১৩ জন অংশীদারে কেনা জমির মধ্যে আসামির ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি, ওই জমিতে ২০১৮-২০১৯ করবর্ষে নির্মিত ফ্ল্যাট, ডেমরা এলাকার আমুলিয়া মৌজার ৯ শতক জমির মধ্যে ৫০ শতাংশ মালিকানার ৪ দশমিক ৫ শতাংশ জমি, খিলগাঁও এলাকার গোড়ান মৌজায় ১২ জনের নামে কেনা সম্পদের আসামির অংশ ২৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ জমি এবং একই মৌজায় ১২ জনের নামে কেনা জমির মধ্যে আসামির অংশ ১ দশমিক ৯৬৪ শতাংশ জমি।

এছাড়াও নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে কামতা মৌজায় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি চাকুরিজীবী ক্যাটাগরিতে পাওয়া ২৪ নম্বর সেক্টরের ৩০৭ নম্বর রোডের ৩ কাঠা আয়তনের ৩৭ নম্বর প্লটও রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, এই সমস্ত সম্পত্তি অর্জনের কোনো বৈধ উৎস নেই। ফলে আদালত এই সম্পত্তিগুলো ক্রোক করে রাষ্ট্রের কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে। দুদক সূত্রে জানা যায়, সাবেক জেল সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ ও তার স্ত্রী নাছিমা সুলতানা দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে আসছিলেন। তারা এই অবৈধ অর্থ দিয়ে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে বিভিন্ন সম্পত্তি কিনেছেন। দুদকের তদন্তে এই তথ্য প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে। কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আবদুল মজিদ এই আদেশ দিয়েছেন।

আদালত একই সঙ্গে সম্পত্তি দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগ করেছেন। দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন মামলাটি তদন্ত করছেন। তিনি জানিয়েছেন, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, সাবেক জেল সুপার ও তার স্ত্রীর নামে ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫৯ টাকার স্থাবর সম্পদের বৈধ কোনো উৎস নেই।

উল্লেখ্য যে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত ২৮ অক্টোবর অনিয়ম-দুর্নীতি, তদন্ত, বদলিসহ নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করে। দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ূন বিন আহমদ নিজ কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিস্তারিত তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, সাবেক জেল সুপার ও তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে আসছিলেন এবং এই অবৈধ অর্থ দিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন সম্পত্তি কিনেছেন। আদালত এই তথ্যের ভিত্তিতে সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 dainiksamundrasaikat