রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবন ও জায়গা দখলের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি মংসানু মারমা ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চাকমা।
আসামিরা হলেন- বাশৈচিং মারমা, তার স্ত্রী মেথুই চিং মারমা, ছেলে শৈসাইচিং মারমা, মেয়ে শৈমে মারমা, ছেলে লেনিং মারমা।এছাড়া অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জন।
সত্যতা নিশ্চিত করে রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মংসানু মারমা বলেন, ২০১১ সালে ইউনিটির নামে জায়গাটি ক্রয় করা হয়। পরবর্তীতে ওই জায়গায় ২০১৬ সালে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ধাপে ধাপে করার কারণে বর্তমানে ভবনটি অর্ধনির্মিত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না দিয়ে হঠাৎ করে ওই অর্ধনির্মিত ভবন দখল নেয়ার পাঁয়তারা করেন আওয়ামী লীগের নেতা সুইহ্লাচিং প্রকাশ বাথোয়াইচিং মারমা ও তার পরিবার।
তিনি আরো জানান, বাশৈচিংদের জায়গার সঙ্গে ভবনের জায়গার কোনো মিল নেই। কাগজপত্র সবকিছু আলাদা। এর আগেও তিনি বহুবার দখলে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। বাধা দিতে গেলে আমাকেসহ উপস্থিত ইউনিটির সদস্যদের প্রাণনাশসহ অকথ্য ভাষায় অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। একইসঙ্গে পুনরায় বাধা দিতে এলে নারীদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করারও হুমকি দেন বাথোয়াইচিং।
তার এই বেআইনিভাবে দখল করার কাজে কোনো অদৃশ্য প্রভাব থাকতে পারে। কারণ, শুরু থেকে এ পর্যন্ত বাথোয়াইচিং কখনো কোনো সময় জায়গাটি তার বলে দাবি করতে আসেননি। এ বাস্তবতায় আইনের আশ্রয় নিয়ে বাথোয়াইচিংসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে জানান তিনি।
এজাহার সূত্র মতে, গেল মাসের ৯ তারিখ বিকেল ৩টায় বাশৈচিং মারমাসহ ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী ২ একর নালিশি জমি দখল করার চেষ্টা করে। তাদের এই কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে জমি দখল নিয়ে দু-পক্ষে যেকোনো সময় মারাত্মক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান ভুক্তভোগীরা।
আদালত সূত্র মতে, দখলকারী বাশৈচিং মারমার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৫ ধারা প্রেসডিং মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সকালে হাজির হয়ে প্রকৃত দখল সম্পর্কে লিখিত বিবৃতি ও কারণ দর্শানোর জবাব জানতে চেয়েছে আদালত। এছাড়াও সরেজমিনে তদন্ত করে স্ক্যাচম্যাপ সহ-সহকারী ভূমি কমিশনারকে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।
এ বিষয়ে বাশৈচিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কী জন্য ফোন দিয়েছেন, সেটা বলেন। আর ঘুরেফিরে এত কিছু বলা লাগবে না। যা হবে আদালতে দেখা হবে। এর আগে কেন জায়গা দখল করেননি- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান।
বান্দরবান সদর থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, দখলের বিষয়ে আদালত থেকে তদন্ত করার জন্য প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। এই বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে আদালতে দাখিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : রেজাউল করিম হৃদয় , বার্তা সম্পাদক মোঃ সরওয়ার হোছাইন মানিক
যোগাযোগ : 01401266382
Copyright © 2025 ---- সমুদ্র সৈকত. All rights reserved.