1. admin@dainiksamundrasaikat.xyz : Admin :
আজিজ নগরে বনভূমিতে খাদ্য কর্মকর্তার খামার বাড়িতে পিডিবির ৩ কিঃমি খুঁটি - সমুদ্র সৈকত
২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| বৃহস্পতিবার| রাত ২:৫২|

আজিজ নগরে বনভূমিতে খাদ্য কর্মকর্তার খামার বাড়িতে পিডিবির ৩ কিঃমি খুঁটি

বিশেষ প্রতিনিধি
  • Update Time : রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৫ Time View
Spread the love

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসাইনের কারসাজিতে – চকরিয়ার আওতাধীন আজিজ নগর মুসলিম পাড়া এলাকা থেকে অবসর প্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা রফিক কর্তৃক অবৈধভাবে দখল করা পাহাড়ী বনভূমিতে স্থাপিত খামারবাড়িতে ৩ কিঃমির দূরত্বে পিডিবির খুঁটি স্থাপনের কাজ চলছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-চকরিয়া অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসাইন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহমেদ আলীর স্বেচ্ছাচারিতায় অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে সংরক্ষিত বনভূমির গাছ কর্তন করে অবসর প্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তার খামার বাড়ির জন্য ৩ কিঃমিঃ দুরত্বে ৭০/৮০টি এসটি খুঁটি স্থাপনের কাজ চলমান। চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা ও বান্দরবান সদর উপজেলা খাদ্য অফিসের অবসরপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রকাশ রফিক সাব অবৈধভাবে প্রায় ৮০ একর পাহাড়ী বনভূমিতে একটি খামার বাড়ি নির্মাণ করেছে। দখলকৃত বনভূমিতে আরো স্থাপনা তৈরি করে সেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করে পর্যটন বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করবেন।
আজিজনগরের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, রফিক সাব একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি লামার আজিজনগরে খাদ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব থাকাকালীন অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ৭০-৮০ একর পাহাড়ী বনভুমির মালিক বনেছেন। পরিবেশের ভারসাম্যের বারোটা বাজিয়ে পাহাড়ের মাঠি কেটে সড়ক তৈরি ও সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তন করে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানো হচ্ছে। এমনিতেই বিদ্যুৎ অফিস টাকা ছাড়া খুঁটি বসায় না। একজন ব্যক্তির স্বার্থে বিপুল অর্থের বিনিময়ে চকরিয়া পিডিবি অফিসের কর্মকর্তারা ৩ কি: মি খুঁটি স্থাপন করেছেন।
পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতা তৌহিদুল ইসলাম জানান, খুঁটি স্থাপনকৃত ৩ কি:মি এর মধ্যে কোন ধরণের সরকারি স্থাপনা কিংবা কোন ঘরবাড়ি নেই। সরকারি প্রকল্প জনগণের জন্য, একজন ব্যক্তির জন্য এতগুলো পিলার (খুঁটি) স্থাপিত হচ্ছে। নিশ্চয়ই মোটা অংকের টাকার লেনদেন হয়েছে।
বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, চকরিয়া অফিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহমেদ আলী জানান, ওখানে কাজ চলতেছে জানার পরে দেখতে গিয়েছিলাম। মূলত কাজের বিষয়ে আমি জানিনা বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন।
সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসাইনের কাছে অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজিজনগরের কোথায় কোথায় কাজ হচ্ছে বা হইছে এগুলো আমি জানিনা।
নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে ব্যবহৃত মুটোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না দেয়ায় বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বার্থে প্রজেক্ট ৩ কি:মি লাইন দেয়ার নিয়ম আছে কিনা জানতে কক্সবাজার সার্কেলের (এস, ই) উজ্জ্বল বড়ুয়া জানান এটি চট্রগ্রামের প্রকল্প অফিসের কাজ। ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন মোবাইলে নয় অফিসে এসে কথা বলার অনুরোধ জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 dainiksamundrasaikat