কক্সবাজারের ঈদগাঁও থেকে বন্য হাতির একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইসলামাবাদ গজালিয়ার সাতঘরিয়া পাড়া সংলগ্ন গর্জনতলায় হাতিটির মৃত্যু হয়। ক্ষত স্থানে ইনফেকশন হয়ে হাতিটি মারা যায় বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার মৃত হাতিটি দেখতে পায় স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, লাকড়ি সংগ্রহ করতে যাওয়ার পথে হাতির শাবকটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান কাঠুরিয়ারা। বিষয়টি বন বিভাগকে অবগত করেন তারা। পরে রাজঘাট বিট ও ফুলছড়ি রেঞ্জের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতি শাবকটি পর্যবেক্ষণ করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজঘাট বিট কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, মৃত হাতি শাবকটি পুরুষ এবং এটির বয়স আনুমানিক দেড় থেকে দুই বছরের মতো হবে। হাতিটির গায়ের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, গত দুইদিন ধরে অসুস্থ বাচ্চা হাতির চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু তাতেও হাতিটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি হাতি শাবকটি মারা গেছে।
গজালিয়া সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাস্টার কামাল উদ্দিন বলেন, বাচ্চা হাতিটি অন্য হাতির আক্রমণের শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে সে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিল। খবর পেয়ে যথাসাধ্য চিকিৎসা দিয়েছি। তবুও বাঁচানো যায়নি।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন আহমেদ বলেন, হাতি শাবকটির মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মৃত্যুর কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যায় দীর্ঘদিনের কিছু ক্ষতের কারণে তার শরীরে রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়। সেই ক্ষত স্থানে ইনফেকশন হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।