বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমদের ক্যাশিয়ার খ্যাত জসিম উদ্দিন একজন বিশ্বমানের প্রতারক ও বাটপাড় হিসেবে প্রমাণিত। একইসঙ্গে তিনি কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের জন্য চরম হুমকি বলে দাবি করেছেন কক্সবাজারের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
তারা বলেছেন, এই প্রতারক নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে প্রতারক জসিমকে কক্সবাজারে প্রবেশে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন।
রোববার বিকালে কক্সবাজারে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিল শেষে পথসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজার শহিদ সরণির জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজলের নামে জসিমের মিথ্যা কুৎসা রটানোর প্রতিবাদে মিছিলটি বের করা হয়। কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের বাজারঘাটা গিয়ে শেষ হয় এ মিছিল।
মিছিল শেষে যেখানে আয়োজিত এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন- কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল মাবুদ, কক্সবাজার পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কাসেম, কক্সবাজার জেলা যুবদলের সহসভাপতি জাবেদ ইকবাল, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সানাউল্লাহ আবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সরওয়ার নোমান, শহর যুবদলের আহবায়ক আজিজুল হক জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদীন, কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন রিপন।
পথসভা সঞ্চালনা করেন ছাত্রদল নেতা কানন বড়ুয়া বিশাল।
সভায় বক্তারা বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের সংশ্লিষ্ট একটি বিষয় নিয়ে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধের মীমাংসা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক তারকামানের আবাসিক হোটেলে রামদা নিয়ে দুপক্ষের বিরোধের মীমাংসার উদ্যোগ নিতে গিয়ে জসিমের কুৎসার শিকার হয়েছেন কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য। এই প্রতারক কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের জন্য অত্যন্ত হুমকি। ইতোমধ্যে জসিমের বিরুদ্ধে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ রয়েছে।
বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিপীড়ন, নির্যাতনের জন্য দক্ষিণ চট্টগ্রামে অর্থ সহায়তাকারী এই জসিম। আওয়ামী লীগের দোসর এবং সাবেক পুলিশ প্রধানের সহযোগী হিসেবে নানা অপরাধের নেতৃত্বদানকারী। মূলত লুৎফুর রহমান কাজল একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ। আওয়ামী লীগের দোসর হওয়ায় উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।
এই জসিম কক্সবাজারে এলে পর্যটন শিল্পের জন্য ক্ষতি হবে মন্তব্য করে বক্তারা তাকে কক্সবাজারে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে জসিমের একপক্ষের কথায় মিথ্যা সংবাদ প্রচারকারী সংবাদমাধ্যমটিকে সংবাদ প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানানো হয়।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর জামিনে মুক্ত হয়ে জসিম রংধুন গ্রুপের হেড অব মিডিয়া মো. সাইফুল ইসলামকে সপরিবারে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজের ভাইয়ের ফোন থেকে কল করে জসিম উদ্দিন আমাকে অকথ্য ভাষায় গাল-মন্দসহ হত্যার হুমকি প্রদান করেন। এর পরদিন ১৮ জানুয়ারি কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটান।